আমরা কী নেশাগ্রস্থ এক শিক্ষিত জাতি পেতে যাচ্ছি ?!
শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যত । তাদের উপর নির্ভর করে দেশের ভবিষ্যত অবকাঠামো ।আর সেই ভবিষ্যত অবকাঠামোই যদি নেশা দ্বারা আবদ্ধ হয় তাহলে দেশের ভবিষ্যত কেমন হতে পারে তা ধারণা করাই যায় ।
দেশের সকল সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গেলেই দেখা যায় সিগারেটখোরদের স্থল ।চায়ের দোকানে সিগারেট টানার ধুম পরে যায় ।এক হাতে চা আরেক হাতে জ্বলন্ত সিগারেট , এ যেন এক সাধারণ আচরণ বলে ধারণা করা হচ্ছে !!
ক্যাম্পাসগুলোতে যেসব স্থলে শিক্ষকদের আনাগোনা থাকেনা সেখানে শুধু সিগারেট না বরং গাঁজার আড্ডা বসে যায় ! দেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেধাবীদের জায়গা , তাইনা ? "মেধাবীদের হাতে নেশাদ্রব্য " ব্যাপারটা হয়রান করার মতন না ?
সন্ধ্যা নামলে তো প্রায় ক্যাম্পাসের আনাচে কানাচে থেকে খালি ছোট ছোট আগুনের গোলা দেখা যায় ।জ্বলন্ত সিগারেট ! নয়তো গাঁজা !
নিকোটিনে আসক্ত হলে সে মানুষ ভালো না খারাপ তা আমি বলিনা ।আসলে বলতে চাইনা ।ওই তর্কে জড়াতে চাইনা ।তবে মেধাবীদের হাতে আর যাই হোক নেশাদ্রব্য তো মানায়না , তাইনা ? নেশাগ্রস্থ মানুষ তো নিজের উপরই নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনা তাহলে সে ভবিষ্যতে কিভাবে দেশের সুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ করবে এটাই ভাবার বিষয়।
আমরা কী একটা নেশাগ্রস্থ জাতি চাই ? চাইনা তো ।পদক্ষেপ যদি শুরুতেই না নেওয়া যায় তাহলে পরবর্তীতে বড় ক্ষতি কী সামলানো যাবে ? লক্ষ্য লক্ষ্য টাকার তহবিল গঠন করছে এবং বিনিয়োগ করছে সরকার মেধা লড়াইয়ে টিকে যাওয়া এই পাবলিকিয়ানদের পিছনে বড় একটা নেশাগ্রস্থ জাতি পেতে ?!
শুধু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনো দেশের কোনও শিক্ষার্থীই নেশাগ্রস্থ হয়ে যাবে এটা তো কাম্য না । একটা বিশ্ববিদ্যালয় যেটা একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান , সেখানে নেশাদ্রব্যের এতো সহজলভ্যতা সত্যিই হতাশা জনক ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তারা তো নেশাদ্রব্যের ক্ষতি আর কুফল খুব ভালো ভাবেই জানে ।জানার কথা ।তাহলে কী শিক্ষা আর চিন্তা করার শক্তি তাদের মধ্যে জাগ্রত হয়নি ? নাকি তাদের বিবেক নেই ? নাকি তারা বিবেক আর চিন্তা শক্তি সামান্য নিকোটিনের ধোঁয়াতে বিকিয়ে দিয়েছে ?!
শুধু বিশ্ববিদ্যালয় না বরং সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ডোপ টেস্ট এর ব্যবস্থা করা উচিত ।শুরুতে নির্মূল আর প্রতিকার হলে প্রতিরোধ সহজ হবে । আর নেশাদ্রব্যের এমন সহজলভ্যতাও বন্ধ করতে হবে যেটা উপরমহলের কর্তব্যও বটে ।
এক সুস্থ জাতি পেতে চাইলে আর একটা সুন্দর রাষ্ট্র দেখতে চাইলে মেধাবী আর দেশের ভবিষ্যত প্রতিনিধিদের নিকোটিনের ব্যাভিচারী কালো ধোঁয়া থেকে দূরে রাখা সময়ের প্রয়োজনও বটে ।
এই আশা নিয়েই বিদায় নিচ্ছি যে এমন একদিন খুব শীঘ্রই আসবে যখন দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম হবে এক নেশাহীন সুন্দর প্রজন্ম । যাদের হাত দেশের ভবিষ্যতের জন্য হবে এক শক্ত খুঁটি ,নিকোটিনের বিষাক্ত ধোঁয়া যাদের আসে পাশেও থাকবেনা ।
নেশা করার বিষয়টা মূলত প্রতিটা মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়। এর সাথে সমাজের কোনো সম্পর্ক নেই। যেমন আমি যেখানে থাকি ,আমার আশেপাশের সবাই ধুমপান করে ,এমনকি আমার আব্বুও ধূমপান করে। তাই বলে কি আমিও করবো?
আমি করি না, কারণ এটা ইসলামে হারাম।
"নেশা করার বিষয়টা মূলত প্রতিটা মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়।" এই কথাতে আমি একমত পোষণ করছি তবে এর সাথে যে সমাজের কোনো সম্পর্ক নেই, এটাতে আমি একমত পোষণ করতে পারলামনা ।যেখানে নেশাগ্রস্থদের নেশাতে নিমোক্ত অবস্থাতে হিতাহিত জ্ঞান থাকে না আর এর ফলে সে যেকোনো অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে পারে । আর লিপ্ত হচ্ছেও !
ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে ভাবলে নেশা তো হারামই , ধর্মীয় দিক দিয়ে চিন্তা না করলেও নেশাগ্রস্থতের সাথে বিশেষ করে নেশাগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের সাথে সমাজও ওতপ্রোত ভাবে জড়িত বলে আমি মনে করি ।
Congratulations @mustavi! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s):
Your next target is to reach 2500 replies.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
Check out the last post from @hivebuzz:
Support the HiveBuzz project. Vote for our proposal!
Hi @mustavi, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rem-steem!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON