লালবাগ জাদুঘর
লালবাগ কেল্লার ভিতরে রয়েছে একটি জাদুঘর, যেটি লালবাগ জাদুঘর নামে পরিচিত। আমি কিছুদিন পূর্বে একটি ব্লগে লালবাগ কেল্লা সম্পর্কে লিখেছিলাম এবং দেখিয়েছিলাম। কিন্তু অ্যালবাম জাদুঘর সম্বন্ধে আমি কিছুই শেয়ার করিনি। লালবাগ কেল্লার মধ্যে প্রবেশ করলে অনায়াসে দিনের দুইটি ঘন্টা অতিবাহিত করা সম্ভব, কেননা ওখানে অনেক কিছু রয়েছে। তো আজকে লালবাগ জাদুঘর সম্পর্কে লিখতেছি এবং দেখাচ্ছি ,যাতে করে যারা এখানে এখনো ঘুরতে যেতে পারেননি তারাও বুঝতে পারে এবং ঘুরতে আসে।
এটা হল লালবাগ জাদুঘর।
এটা মূলত লালবাগ কেল্লার ভিতর। ২০ টাকা টিকিট দিয়ে ভিতরে ঢুকে আপনারা জাদুঘর দেখতে পারবেন।
এখানে মূলত শায়েস্তা খানের ব্যবহার্য জিনিস পাতি, মোগল রাজাদের বিভিন্ন জিনিস পাতি, সাংস্কৃতিক চিহ্ন, বিভিন্ন তরবারি, বিভিন্ন স্থাপনা , বিভিন্ন পুরাকীর্তি, তাদের কাপড়-চোপড় প্রভৃতি রয়েছে।
প্রথমে ওখানে যেতেই পাশে এই পুরাকীর্তিটি চোখে পড়লো।
এটা একটি কামানের অংশবিশেষ । মোগল আমলে এটা একটা কেল্লা ছিল ,সেখানেই এটার মাধ্যমে যুদ্ধের জন্য রাখা হয়েছিল ,সেটার ই অংশ রেখে দিয়েছে জাদুঘরের পাশে ।
আমি সেখানে আমার বন্ধুর সাথে গিয়েছিলাম।
জাদুঘরের সবার প্রথমে রুমটায় একটি বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসের একটি ছবি ছিল।
এই ছবিটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী খুবই সংক্ষিপ্ত ভাবে লেখা ছিল।
পাশাপাশি এই হাতে অংকিত চিত্র গুলো সেখানে ছিল।
ছবিটি দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন।
এই ছবিটি দেখুন এটা মূলত তখনকার সময়ের সৈনিকরা পড়তো। সৈনিক বলতে তাদের বোঝানো হয়েছে যারা কেল্লার সুরক্ষায় নিয়োজিত থাকতো। পরে তারা যুদ্ধ করত।কারণ এর মধ্যে চাকু লাগলে তা খুব সহজেই দেহে আঘাত করতে পারত না।
এই ছবিটি দেখুন,এগুলো হলো অনেক আগের তরকারি,তৎকালীন তরবারি দিয়ে যুদ্ধ করা হতো।
এখানে দেখুন চিনামাটির বিভিন্ন বাকি রয়েছে। পাশে রয়েছে তামা দিয়ে তৈরি জিনিসপত্র।
এরপর আরেকটি কক্ষে গেলাম,এটির রূপ দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম।
এই কক্ষটির প্রথম দর্শন ছিল অসম্ভব সুন্দর। আদি স্থাপনা বিদ্যমান। এর মাঝে দেয়াল ছিল খুবই সুন্দর এবং শক্ত এবং মজবুত।
পাশাপাশি লাইটটি দেখতে পারছেন সেটাও আগের।
মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম এটি দেখে।
তখন কিন্তু বন্দুক ও ছিলো।
তখন বন্দুক ধনুক সবকিছুই ছিল এসব মূলত প্রতিরক্ষার জন্য তারা ব্যবহার করত। কেননা তখন আমরা ইংরেজদের অধীনে ছিলাম। যুদ্ধ ছিল না।শান্তিপূর্ণ এবং নিজস্ব নিরাপত্তার জন্যই আমরা এসব ব্যবহার করেছিলাম।
এটা হলো কামানের গুলি তৈরির সাচ। যা ১৮-১৯ শতকে তৈরি করা হয়েছিল
সবশেষে দেখুন ,এটা হল তৎকালীন একজন প্রহরীর মত বানানো একটি মূর্তি। যার পরনে ছিল তৎকালীন জামাকাপড়।
এটাই ছিল আজকে লালবাগ জাদুঘর এর কিছু ছবি। আরো অনেক কিছুই ছিল সেখানে দেখার মত এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করার মত।
কিন্তু শেষ হবে নিজ চোখে না দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন না।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমি এর আগে আরো বহু জাদুগারি গিয়েছে কিন্তু কোথাও ছবি তুলতে দিলো না।লালবাগ জাদুঘরটি হলো একমাত্র জাদুঘর যেখানে ছবি তোলার কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না যে কেউ ছবি তুলতে পারত।
ধন্যবাদ সবাইকে আশা করি সকলে আমার ব্লগ টি পড়বেন এবং আপনাদের মন্তব্য শেয়ার করবেন।
Hi @minhaz007, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rem-steem!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON
Hi, friend @minhaz007
I like your post very much.
That place and the history are so interesting.
Have a Big Hug