বিজয়ের জন্মদিন
গত ১৬ই ডিসেম্বর আমার ভাগ্নে বিজয়ের জন্মদিন ছিল। মূলত সে ১৬ই ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিল এজন্য ওর নাম রাখা হয়েছিল বিজয়। বিজয় ১২ বছরে পা দিল। মূলত আমি জন্মদিনের বিরোধী। কিন্তু এই জন্মদিনের উদ্দেশ্য ছিল শুধুমাত্র একটি শিশুকে খুশি করা,যেটার আমি সমর্থন করি, কিন্তু আমাদের দেশে জন্মদিন উপলক্ষে যেসব করা হয় সেসব আমি সমর্থন করি না।
পাশাপাশি আনকেই নিশ্চয়ই জানো যে বাংলাদেশে স্কুলে লটারির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করানো হচ্ছে। এটারও রেজাল্ট দিয়ে ছিল সেই ১৬ তারিখ এবং সৌভাগ্যক্রমে আমার ভাগনা বিজয় কুড়িগ্রামের সবচেয়ে ভালো স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে লটারির মাধ্যমে। তোরসা হলে তো বুঝতে পারতেছেন দুইটি আনন্দের জিনিস। সত্যি বলতে অনেক আনন্দের কেননা স্কুলের অ্যাডমিশন পাওয়াটা ছিল একটি অনেক আনন্দের বিষয়। যেটা সকলেই পায়নি ,আমার আরেক ভাগনা ভর্তি হতে পারেনি ,পাশাপাশি আমার এক পাশের ছোট ভাই ভর্তি হতে পারেনি ,এমনকি আমার আরেক ভাগনি ও ভর্তি হতে পারেনি। মূলত এটা হয়েছিল লটারির মাধ্যমে, কিন্তু তারা ভর্তি হতে পারবে অন্যান্য স্কুলে,কিন্তু পছন্দের স্কুলে পরতে পারবে না।
এবার আসি জন্মদিনের বিষয়ে। এটা পুরোটাই হঠাৎ হয়েছিল কেননা আমরা কোন প্রস্তুতি নিয়েছিলাম না। তবুও দুই ঘণ্টার মধ্যে এসব যোগাড় করা সম্ভব হয়েছিল।
Happy Birthday to Bijoy
এটি কুড়িগ্রামের সবচেয়ে ভালো টেস্টি বেকারি থেকে অর্ডার করা হয়েছিল। কেকের পাশাপাশি পুডিং, পিঠা,মিষ্টি, ফলমূলও ছিলো।
এই পুডিং, পিঠা বানাতেই মূলত ২ ঘন্টা সময় লেগেছিল। কেনোনা শুধু কেক দিয়ে সবার চাওয়া পূরণ করা সম্ভব নয়। এমনকি এসব খাবার পরে পোলাও মাংসের ব্যবস্থাও ছিল।
এই ছবিটিতে দেখতে পারতেছেন মাঝের ছেলেটি হলো বিজয়, যার জন্মদিন। যেহেতু সে বাচ্চা তাই আরো কিছু বাচ্চাকে দাওয়াত করা হয়েছিল। মূলত, আমি প্রথমেই বলেছি এটা একটি বাচ্চাদের আনন্দের উদ্দেশ্যে জন্মদিন পালন করা হয়েছিল।
বিজয়ের ডান পাশের মেয়েটি ওর বোন সুরমা।
খুবই তাড়াহুড়া করেই সবকিছু হয়েছিল যার কারণে বেশি আয়োজনের ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু এই বাচ্চাদের জন্য এটাই অনেক এবং তারা অনেক আনন্দিত ছিল। আমরা যখন বাচ্চা বয়স তখন আমাদের অল্পতেই খুশি থাকার অভ্যাস ছিল। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের চাহিদা বেড়ে যায়।
এই ছবিটিতে দেখতে পারছেন আমি তাদের সাথে একটি সেলফি তুলে ছিলাম। আমি বাচ্চাদের সাথে খুবই খুবই খুবই আন্তরিক এবং বন্ধুসুলভ। তারা আমাকে অনেক ভালবাসে না আমিও তাদের অনেক ভালোবাসি। আমাকে তারা পেলে আমাকে তারা ছাড়তে চায় না ,আমার সাথে ঘুমাতে চায়,আমার সাথে খেলতে চায় ,আরো নানান বিষয়। মূলত আমি একজন হাসিখুশি মানুষ, হাসিখুশি থাকতে পছন্দ করি।
জন্মদিন উপলক্ষে আরো কয়েকজন মানুষ কে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। তো সবাই কেক, পুডিং পেয়েছিল এবং তখনই সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। এরপর আমরা রাতের খাবার খেয়ে ছিলাম। এবং যার যার বাসায় চলে এসেছিলাম কারণ এখন তো শীতকাল, আবার অন্যের বাসায় থাকলে তাদের জন্য কিছু টা সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে।
বিজয় আমার ফুফাতো বোনের ছেলে। জন্মদিনটা এতটা গুরুত্বপূর্ণ নয় কিন্তু লটারির মাধ্যমে তার ভর্তি সরকারি স্কুলে হওয়ায়,সকলে অনেক খুশি হয়েছিলাম।
আপনারা সকলেই বিজয় জন্য দোয়া করবেন যাতে সে বড় হয়ে ইসলামের পথে থাকতে পারে, ভালো মানুষ হতে পারে এবং এবং ভালো ভবিষ্যৎ জীবন পালন করতে পারে ।
Enhorabuena, su "post" ha sido "up-voted" por @dsc-r2cornell, que es la "cuenta curating" de la Comunidad de la Discordia de @R2cornell.
Happy B-day!
Thanks
Hi @minhaz007, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rem-steem!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON