শান্তি কোথায় পাবো ?!
মানুষ একটুখানি ভালো থাকার জন্য কত কিছু করে ।একটু খানি শান্তির জন্য রাত দিন পরিশ্রম করে ।একটু খানি শান্তি পেতে তাকে কত বেগ পেতে হয় , তাইনা ?
আচ্ছা এই পৃথিবীতে আজকাল শান্তির কি বড়ই অভাব?নাকি কেবল আমার জীবনেই শান্তি নেই ?! উত্তর জানা নেই আমার।
বাড়ি থেকে দূরে মেসে থাকি ।মেস জীবনে নাকি শান্তির অভাব একটু তীব্রই থাকে ! আমার রুম থেকে পদ্মা দেখা যায়।সবুজ গাছগাছারি পার হয়ে পদ্মা ।সকাল সকাল মন ভালো করে দেবার মতন একটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আছে এইখানে ।কিন্তু কিছু একটা নেই নেই লাগে ।
নিজেকে প্রশ্ন করলাম কি নেই আমার ? উত্তর আসলো "শান্তি" !
নিজের মনকে নিজেই বুঝ দিলাম
"দেখো,শান্তি তো এমনি এমনি পাওয়া যায় না।স্রষ্টার কাছে শান্তি চাইতে হয়,আর নিজেকেও মাঝেমধ্যে শান্তি খুঁজে নিতে হয়!"
শান্তি লাগবে তাই স্রষ্টার কাছে তো চাইতেই হবে,চাইছিও রোজ।কিন্তু ওই যে বললে নিজেকেও খুঁজে নিতে হয় মাঝেমাঝে,আমিতো খুঁজেই পাচ্ছি না!আমার দরকার খুব নিরিবিলি একটা জায়গা,খুব নিরিবিলি।এতোটা নিরিবিলি যে বাতাসের শব্দটা ক্ষীণ হলেই যাতে আমার হৃদস্পন্দন শোনা যায়!একটা নদীর পাড়,পাশে মাঝারি সাইজের ঘাস থাকবে।কিছু ঘাসফুল থাকলেও ক্ষতি নেই।আমি সেই ঘাসগুলোতে কিছুটা সময় বসতে চাই,এই ধরো কয়েকটা ঘন্টা।আমি চেয়ে থাকবো শূন্যতার পানে,না,,,কোন অপেক্ষা থাকবে না,কোন আকাঙ্ক্ষা থাকবে না।শুধু একাকী বসে থাকতে চাই।
ইট পাথরের এই দেওয়াল আমার আর ভালো লাগছেনা । আমার পা একটু মাটির ছোঁয়া চায় ।এই যে অনলাইন এর যুগে চাইলেই মেসেজ পাঠানো যায় তাও আমি হাতে লেখা এক দুখানা পত্র চাই ।যেই পত্রতে থাকবে আমাকে জানতে চাওয়ার খোজ। যেই পত্রতে থাকবে আমার প্রিয়জনদের খোঁজ ।
এই যে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় যাই বিভিন্ন তথ্য আনতে , বিভিন্ন রিপোর্ট করতে , অনেক এর কথা জানতে কোথায় কখনও তো কেউ আমার খবর জানতে চায়নি । এই যে রোজ এক অশান্তি নিয়ে ঘুমোতে যাই , এপিঠ ওপিঠ করে রাতের পর রাত পার করে দি , কোথায় কেউ তো বুঝতে পারেনি ! আসলে আত্মকেন্দ্রিকতা বেশী এখানে ।আমি চাই সকলের মাঝে থেকে সকলকে নিয়ে বাঁচতে ।তাই আমি শান্তি পাইনা এই ইট পাথরের বেড়াকলে যান্ত্রিক এই জীবনে!
শান্তি খুঁজে পাইনা , খুজতে কোথাও যাওয়া উচিত ....আসলে শান্তি পাবো কিনা জানিনা , আমার একটু গ্রামে যাওয়া উচিত।
আজকের মতন বিদায় নিচ্ছি , লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ , নিরাপদ থাকবেন , আশা করছি ভালো থাকবেন৷
অনেক সময় স্থান পরিবর্তন করলে মানসিকভাবে অনেক প্রশান্তি পাওয়া যায়, শান্তি অনেক দামি জিনিস, সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ বলতে পারবেনা কবে সেটা আপন মনে এসে ধরা দিবে আশা করব খুব তাড়াতাড়ি যেন আপনার মনে শান্তি আসে ,
আসলেই শান্তি অনেক বড় এক জিনিস , শান্তি বিহীন সুখ পাওয়া যাওয়া না
লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
Hi @mariumsehri, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rem-steem!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON
একজন মানুষ যখন খুব বেশি অশান্তি অনুভব করে এবং সকল চেষ্ঠার পরেও বুঝতে পাড়ে না শান্তি কিভাবে পাবে, তখন তার সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনা করা উচিত। সৃষ্টিকর্তা তার বান্দাদের নিরাস করেন না। আমরা জানা মতে, আমরা বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষ জীবনের প্রয়োজনে ব্যাস্ত হতে যেয়ে, সৃষ্টিকর্তার সাথে যথেষ্ঠ্য দূরত্ব তৈরি করে ফেলেছি। এটা আমরা অনুভব করতে পাড়ি কিনা জানি না। যার ফলস্রতিতে দেখা যায় সকল ধরনের শান্তির উপায় জানার পরেও মানুষ শান্তি অনুভব করতে পাড়েনা।
হ্যা এটাও ঠিক যে, স্থান পরিবর্তনের সাথে একজন মানুষের মানসিক চিন্তা, কাজ, চাহিদা, প্রয়োজন সকল কিছুরই একটি পরিবর্তন আসে ধারাবাহিক জীবনে। আর প্রত্যেক মানুষেরই উচিত ধারাবাহিক জীবনে ভ্রমনের মাধ্যমে নিজেকে সতেজ রাখা, তাহলে সমসাময়িক জীবনে ভালো থাকা যায়।
সৃষ্টিকর্তা সকলকে শান্তি দান করুক, আমিন।
সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করা ব্যতীত শান্তি আদৌ পাওয়া যায় কিনা আমার আসলেই জানা নেই , সৃষ্টিকর্তা শান্তি না দিলে আসলেই শান্তি মিলেনা ...স্থান পরিবর্তন করাতে যেই শান্তি আসে তাও কিন্তু সৃষ্টিকর্তারই দান ...
লেখাটি পড়বার জন্য ধন্যবাদ ..