পছন্দের খাদ্যর টানে ঢাকা ভ্রমণ !!
প্রায় দুই মাস পর বাসায় যাওয়ার সুযোগ তৈরী হলো ।না গিয়ে আর পারলাম না ।একা একা থেকে আর ভালো লাগছিলোনা ।আবার কিছু প্রিয় খাবারও খুব খেতে ইচ্ছে হচ্ছিলো ! তাই সুযোগ পেয়ে আর দেরী করলামনা ।চলে গেলাম বাসায় ।
সকাল সকাল বাসা থেকে বের হলাম ।খুব বেশী সকাল না যদিও ! বেলা দশটা আরকি ! প্রথমে সেই কলেজ জীবনের বান্ধবীকে সঙ্গী করে নিলাম।
আমার খাওয়া শুরু হলো ভেলপুরি দিয়ে ।মিরপুর গার্লস এর সামনের ভেলপুরি আমার স্কুল জীবন থেকেই পছন্দের । অন্য অনেক জায়গায় ভেলপুরি খেয়েও এই ভেলপুরির টান ভুলতে পারিনা আমি !
টকে টইটম্বুর ভেলপুরি , আহা ! উপরে হালকা শসা আর মসলা দিয়ে দেয় যার কারণে খেতে বেশী মজা লাগে আমার !
এর পর খেলাম কুলফি ।স্কুলে পড়া অবস্থায় কত খেতাম ! তখন মাত্র দুই টাকা ছিল ।এখন এর দাম পনেরো টাকা । খেতে আগের মতন না হলেও খুব একটা খারাপ না ।রোদ আর ঝাল খাওয়ার পর এই কুলফি খেয়ে শান্তিই লাগছিলো ।
এর পর খেয়েছিলাম ফুচকা ।মিরপুর গার্লসের পাশের ফুচকা আমার বরাবরই প্রিয় আর অনেক বিখ্যাতও বটে !যখন স্কুলে ছিলাম তখন এর দাম ছিল ত্রিশ টাকা আর এখন এর দাম চল্লিশ টাকা ।
দুই ধরণের টক দিয়ে দেয় ।বললে ঝাল আর মিষ্টির পরিমাণ কম বেশীও করে দেয় ।ফুচকা গুলো বেশ বড় বড় ।আমার তো বরাবরই ভালো লাগে এই জায়গার ফুচকা!
এর পর বান্ধবীকে বিদায় দিলাম । এরপর গেলাম কলেজ এর আরেক বন্ধু ফয়সালের সাথে দেখা করতে ।ও একটা টিউশনি পেয়েছে ।সেই উপলক্ষে ও ট্রিট দিলো ।
মিরপুর বারো নম্বরে সিগনেচার ফুড কোর্টে রাইস বোল খেয়েছিলাম ।দাম ১৪০ টাকা তবে খেতে খুবই মজাদার ।পরিমাণও একজনের লাঞ্চ করার জন্য অনেক ভালো ।
খাওয়া দাওয়া আর বন্ধুদের সাথে দেখা করার মাঝে দিয়ে এবারের একদিনের ঢাকা ভ্রমণ ভালোই কাটলো । অনেক দিন পর নিজের পছন্দের জায়গাতে খাবার খেয়েও শান্তি লাগছিলো ।
আজকের মতন বিদায় নিচ্ছি , আমার আজকের লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ , নিরাপদ থাকবেন , আশা করছি ভালো থাকবেন৷